দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছেন।
খাদ্য অধিদপ্তরে বৃহস্পতিবার খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছি। আমি মধ্যবিত্ত। নিজে বাজার নিজে করে খাই।’
নতুন ধান ও সবজির সরবরাহ বাড়লে বাজারে স্বস্তি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমন ধান উঠলে ও শীতের সবজি ভালো করে বাজারে আসলে আশা করি বাজার পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।’
সাবেক এ সচিব জানান, চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। এবার সাড়ে পাঁচ লাখ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি আমদানি করা হবে দেড় লাখ টন ধান ও গম।
গতবারের চেয়ে কেজিতে তিন টাকা বাড়িয়ে এবার আমন ধান ৩৩ টাকা কেজি দরে কেনা হবে বলেও জানান আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, আমন ধান বাজারে এলে চালের দাম কমতে শুরু করবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। তাই দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর প্রভাবও পড়বে দামে।’
ধান ও চাল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবার বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামসহ আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।